মানসম্মত চলচিত্র নির্মান করা প্রয়োজন

মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া । ফেনী সরকারি কলেজ । ১ম বর্ষব্যবস্থাপনা

মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করা প্রয়োজনএকটা সময় ছিলো যখন পরিবারের সবাই মিলে বাংলা চলচ্চিত্র দেখা যেতো মন খুলে। ছবি দেখা নিয়ে সেই কি মজা,আনন্দ হইহুল্লর।আর বাংলার হল গুলো ছিলো জনমানবে পরিপূর্ণ। হলে চলচ্চিত্র উপভোগকে কেন্দ্র করে তখন অনেকটা উৎসবের আমেজ দেখা যেত।আজও আমরা আমাদের বাবা দাদাদের থেকে শুনতে পাই স্কুল বা কলেজ ফাঁকি দিয়ে ছবি দেখার সেই মজার মজার গল্প। কিন্তু কালের বিবর্তনে যেন হারতে বসছে বাংলার ঐতিহ্য। আজ আর দেখা যায় না হলের সেই চিরচেনা রূপ, দেখা যায় না পরিবার নিয়ে চলচ্চিত্র দেখার সেই আগ্রহ। প্রশ্ন হচ্ছে সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে কি আমাদের এই পরিস্থিতি কাম্য ছিলো? উত্তরে সবাই বলবে না কখনোই না। বিশ্বের খ্যতনামা চলচ্চিত্রের দেশগুলো যেমন হলিয়উড, বলিউড যেখানে এক একটি ছবি নির্মাণ করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছে। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চলে তাদের ছবি জায়গা করে নিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তথা বাংলা চলচ্চিত্র কেন পিছিয়ে?

আসুন প্রথমে জানা যাক চলচ্চিত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে। চলচ্চিত্রের ইতিহাস ঠিক কবে থেকে শুরু তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে শোনা যায় ১৮৯৫ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর তারিখে প্যারিস শহরে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় তাদের তৈরী দশটি ছোট ছোট চলচ্চিত্র প্রথমবারের জন্য বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শন করেন। চলমান ছবিকে প্রজেকশন বা অভিক্ষেপনের মাধ্যমে প্রথম সফলভাবে প্রদর্শনের নিদর্শন হিসাবে এই তারিখটিকেই গণ্য করা হয়। চলমান ছবিকে ক্যামেরার সাহায্যে গ্রহণ এবং প্রদর্শনের পূর্ববর্তী কিছু নজির থাকলেও হয় তার গুণমান ছিল নিম্ন নয়ত সেগুলোর কোনোটাই ‘লুমিয়ের সিনেমাটোগ্রাফ’-এর মত বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এই ঘটনার পরে থেকে বিশ্ব জুড়ে প্রচুর ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি তৈরী হয়ে যায় আর মাত্র এক দশকের মধ্যেই চলচ্চিত্র শিল্প তার অভিনবত্ত্ব কাটিয়ে উঠে এক বিশাল সর্বজনীন বিনোদনশিল্পে পরিণত হয়।

গোড়ার দিকের চলচ্চিত্র ছিল সাদা-কালোয় তোলা, দৈর্ঘ্য ছিল এক মিনিটেরও কম, আর ছিল নির্বাক। ১৮৯০ সাল থেকেই একাধিক শট সংবলিত বেশ কয়েক মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরী হতে থাকে। ১৮৯৮ সালে তৈরী হয় প্রথম ঘূর্ণায়মান ক্যামেরা যা দিয়ে প্যানিং শট নেওয়া সম্ভব ছিল। ১৮৯৭ সালেই প্রথম ফিল্ম ষ্টুডিও তৈরী হয়ে যায়। স্পেশাল এফেক্ট, এক ঘটনাক্রম থেকে অন্য ঘটনাক্রমে ছবির কন্টিন্যুইটি বা অবিচ্ছেদ্যতা বজায় রাখা, ইত্যাদি নানারকম প্রয়োগকৌশলের ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।১৯০০ সাল থেকেই কন্টিন্যুইটির মাধ্যমে ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং ক্লোজ-আপ শটের ব্যবহার শুরু হয়ে যায় (অনেকে বলেন এর উদ্ভাবক ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ)। এই সময়ের বেশির ভাগ ছবিকেই ‘চেজ ফিল্ম’ বলা যেতে পারে। প্রথম একাধিক রিল সংবলিত কাহিনীচিত্র ১৯০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া-তে তৈরী হয়। ১৯০৫ সালে পিটসবার্গে স্থাপিত ‘দ্য নিকেলোডিয়ান’ কে বলা হয় প্রথম স্থায়ী প্রেক্ষাগৃহ যেখানে সফলভাবে শুধুই চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়েছিল। ১৯১০ এর মধ্যেই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম পর্দায় লেখা শুরু হয়, আর চলচ্চিত্র-তারকা হিসাবে তাদের জনপ্রিয়তার রাস্তা খুলে যায়। ১৯১০ থেকে নিয়মিত সংবাদচিত্র প্রদর্শিত হতে থাকে এবং অচিরেই তা’ নতুন সংবাদমাধ্যম হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে যায়। ঐ সময়েই মার্কিন চলচ্চিত্র গুলো অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের অন্যান্য দেশের শেয়ার মার্কেটের বৃহত্তম ভাগীদার হয়ে দাঁড়ায়।এছাড়া,উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তন হয় হিরা লাল সেনের হাত ধরে ১৮৯৮ সালের দিকে। তবে ১৯৫৫ সালে আবদুল জব্বার খানের মুখ ও মুখোশ দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক নতুন দিগন্ত শুরু হয়।বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের বিপ্লব ঘটে ষাটের দশকে। এ সময়ে চলচ্চিত্রের কিছু কীর্তিমান নির্মাতা তাদের মেধার দীপ্তি ছড়াতে লাগলেন। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রচিত হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালি ইতিহাস।ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত সময়কে বলা হয় চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ। এ সময়ে তৈরি হয়েছে অনেক নায়ক-নায়িকা। জহির রায়হান ও খান আতাউর রহমান সহ আরো অনেক খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার উপহার দিয়েছেন কালজয়ী সব সিনেমা। তারা এখনো ইতিহাস হয়ে আছেন বর্তমান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে। ভবিষ্যতেও থাকবেন।ষাট থেকে নব্বইয়ের দশকে দেশে-বিদেশে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। সিনেমার গান, কথা, ডায়ালগ সবই ছিল মানুষের মুখে মুখে। মনে গেঁথে থাকতো অভিনয় ও সংলাপ।আশির দশকের অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা সফল সিনেমা ছিল বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯)। এরপর বীর পুরুষ, আম্মাজান, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, স্বামী কেন আসামি, ছুটির ঘন্টা, দীপু নম্বর টু, মাটির ঘরসহ আরো কিছু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলোও ছিল ব্যবসাসফল।তারপর ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সালের সময়কে চলচ্চিত্রের খারাপ সময় বলে ধরা হয়। কারণ এ সময়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ হয়নি। এই সময় কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ হলেও তা মানসম্মত ছিলো না। চলচ্চিত্রে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছিলো সেসময়। সেই সাথে অশ্লীলতা ঢুকে পড়েছিলো। যার ফলে দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অনেক সংকটের মধ্যেও সুভা, আয়না, ঘানি, মাটির ময়না, রানওয়ে, খেলাঘর, আমার বন্ধু রাশেদ, শঙ্খনাদ, ডুব সাঁতার, নিরন্তর, হাজার বছর ধরে, চন্দ্রগ্রহণ, আহা, গেরিলার মতো ভালো চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে আবারো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। এই সময়ে তৈরী চলচ্চিত্র-মনের মাঝে তুমি, মনপুরা (২০০৯) ছাড়াও অগ্নি (২০১৪), আয়নাবাজি (২০১৬), শিকারি (২০১৬), ঢাকা অ্যাটাক (২০১৭) ও নবাব (২০১৭) যথেষ্ট ব্যবসা করেছে।

একটি ছবির ৬০ শতাংশ কিংবা তার চেয়ে ও বেশি নির্ভর করে গল্পের উপর। গল্প কিংবা লেখার মান যত বেশি উন্নত হবে সিনেমা তত বেশী সুন্দর হবে। এই ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার বড় অভাব বাংলাদেশের চলচ্চিত্র লক্ষণীয়। তাছাড়া বিদেশি চলচ্চিত্রের সাথে মান রাখতে গিয়ে অনেক সময় হুবহুব তাদের ছবিকে নকল করে দেশের চলচ্চিত্র তৈরী করা হয়। যা দেশের চলচ্চিত্র কে শুধু মাত্র ছোট করা নয় বরং রীতিমত অপমান করার সামিল। বাকি ৪০ শতাংশের মাঝে প্রায় ২০ শতাংশ নির্ভর করে আর্টিস্টদের উপর। অর্থাৎ, উক্ত গল্পটাকে তারা কতটুকু সুন্দর বা জীবন্ত ভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করতে পারলো। কিছু কাল আগেও রাজ্জাক, কবরী, সাবানা, আলঙ্গীররা যে ভাবে অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মন দখল করতে পেরেছে একটু চিন্তা করলে দেখা যায় বর্তমান যুগের কয়জন অভিনেতা অভিনেত্রী অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষ কে আকৃষ্ট করতে পারছে! এখানে বড় প্রশ্ন আসলেই কি বর্তমান চলচ্চিত্রে সাবেকদের মত আর্টিস্ট সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে? উত্তর টা অনেকের জানা। সেখানেও অব্যবস্থাপনা লক্ষণীয়। অধিকাংশ অভিনয় শিল্পীর নেই অভিনয়ের সম্পর্কে কোনো উচ্চতর পড়াশোনা কিংবা অভিজ্ঞতা। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নবাগত যে সকল অভিনয়শিল্প আসছেন তারা চলচ্চিত্র পরিচালক কিংবা চলচ্চিত্র খ্যাতনানা মানুষের হাত ধরে চলচ্চিত্র পা রাখছেন। বস্তুত তাদের অধিকাংশের নেই অভিনয়ের কোনো অতীত অভিগতা। অথচ বাংলাদেশের অধিকাংশ থিয়েটারের অনেক ভালো ভালো আর্টিস্ট একটি সু্যোগের অপেক্ষায় দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন। কিন্তু সুযোগ আর তাদের আসে না। আসা যাক বাকি ২০ শতাংশের উপর। এই ২০ শতাংশের ১০ শতাংশ নির্ভর করে চলচ্চিত্র পরিচালকের উপর। বাকি ১০ শতাংশ নির্ভর করে চলচ্চিত্র বাজেট ও আনুসাঙ্গিক অন্য অন্য উপকরনের উপর। কম অর্থ দিয়েও মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হয়। যদি চলচ্চিত্র পরিচালক, আর্টিস্ট ও গল্প সুন্দর হয় এবং নান্দনিক হয়। কিন্তু এই ৩ জায়গার ব্যর্থতা বাংলার চলচ্চিত্রকে প্রতিযোগীতা মূলক পরিবেশে নিয়ে যেতে অক্ষম।

বর্তমানে অভিনয় শিল্পীরা একে অন্যের সঙ্গে রেষারেষি ও ক্ষমতা প্রদর্শনে ব্যস্ত। তারা কথা বা অন্য মাধ্যমে আর একে অন্যকে ক্ষমতা প্রদর্শন করছে। চলচ্চিত্রের এ অস্থিরতায় ইউটিউবে সিনেমা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিচ্ছে অনেকে। শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর, নির্মাতার সঙ্গে নির্মাতার, প্রযোজকের সঙ্গ প্রযোজকের নেই কোন আত্মিক সম্পর্ক। দিন দিন বেড়েই চলছে তাদের রেষারেষি। বেড়েই চলছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, মামলা-পাল্টা মামলা। শুধু মামলায় থেমে থাকেনি, হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া চলচ্চিত্র সমিতি নিয়েও রয়েছে নানা রকম অভিযোগ। যোগ্য লোকরা সমিতিতে না যেতে পারার কারন তাদের দলীয় কোন্দল। ক্ষমতা প্রদর্শন করা নোংরা রাজনীতি বাড়লেও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে সিনেমা নির্মানের সংখ্যা। ফলে হলে সিনেমা মুক্তির সংখ্যাও কমে গিয়েছে। অতীতে তাকালে দেখা যায়- এক সপ্তাহে কয়েকটি সিনেমা মুক্তির জন্য প্রস্তত থাকতো। সেখান থেকে প্রযোজক সমিতি নির্ধারণ করে দিতেন কোন দুটি সিনেমা মুক্তি পাবে। বর্তমানকালে দু একটা ছবি মাঝে মাঝে সিনেমা হলের দৃশ্যপট বদলে দেয় এবং ভালো ব্যবসাও করে বটে কিন্তু নাজুক আর ধসে পড়া চলচ্চিত্র ব্যবস্থার কারণে প্রযোজক, পরিচালক বা শিল্পিরা লাভবান হতে পারছে না। আর বর্তমানে তো বাংলা ছবির এমন অবস্থানে এসেছে ঠেকেছে যে, কেউ বাংলা ছবি দেখলে তাকে ক্ষেত বলে বিবেচিত করা হয়। আসলে তার কারন বর্তমান চলচ্চিত্রে অসুস্থ পরিবেশ বিরাজ করছে। চলচ্চিত্রতে সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে মানুষ মানসিকতা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।চলচ্চিত্র শিল্প যে কোন দেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সুস্থধারার শিল্পগুণসমৃদ্ধ ও মানসম্মত চলচ্চিত্র যেমন দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে ভূমিকা রাখে তেমনি দেশকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করে। শুধু তাই নয়, বর্তমান যুবসমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে আনতে মানসম্মত চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা চলচ্চিত্র যেমন একটি সর্বজন গ্রহনযোগ্য শক্তিশালী বিনোদন মাধ্যম তেমনি ভালো চলচ্চিত্র মানুষের বিবেক ও মনুষ্যত্ব জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শিক্ষামুলক চলচ্চিত্র চরিত্র গঠনেও রাখতে পারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। তাই দেশে মানসম্মত ও রুচিশীল চলচ্চিত্র নির্মিত হলে ক্রমশ ভালো সিনেমা দেখার দর্শকও তৈরি হবে। একইসাথে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালকসহ সিনেমা শিল্পের সাথে জড়িত সব কলাকুশলী আর্থিক লাভবান হবেন।প্রচলিত একটা ধারণা হলো, চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে হলে নির্মাতা বা সংশ্লিষ্টদের স্বনামখ্যাত বা তারকা হওয়া জরুরি। মোটেও এমনটা নয়, বরং চলচ্চিত্র মানসম্পন্ন হওয়াটাই আসল বিষয়। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক ও তাত্ত্বিক সিডনি লেভিন। আইএমডিবি, ফিল্ম ফাইন্ডারসসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় অনলাইন চলচ্চিত্র প্রদর্শক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করা এই নারী বলেন, দিন শেষে পর্দায় আমরা কী দেখছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে মেধাবী লোকজন রয়েছে এবং মেধার বিবেচনায় তারা অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণে এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের চলচ্চিত্রের প্রতি আমাদের ও অন্যান্য দেশকে আকর্ষণ সৃষ্টি করতে মানসম্মত ও যুগোপযোগী চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। যুগের বিবর্তনের দেশের হল কমা বা হলে মানুষ না যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। কারন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ যখন হাতে কাছে মুঠোফোন পেয়ে সকল ধরনের চলচ্চিত্র অর্থাৎ সকল বিনোদন উপভোগ করছে তখন হলে যাওয়া টা অনেকের জন্য হাস্যকর বিষয়। তবে আমরা যদি বিশ্ব মানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারি তাহলে হল পরিপূর্ণতা না ফেলেও মোবাইল কিংবা ডিভাইস ব্যবহার করে মানুষ দেশের চলচ্চিত্র উপভোগ করবে।সেই সাথে কেটে যাবে বিদেশি চলচ্চিত্র নির্ভরশীলতা। আর চলচ্চিত্রের মত এমন একটি সম্ভাবনাময় খাত থেকে অর্জন করা সম্ভব হবে হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *