দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

লেখক: সালমা আক্তার।

শিক্ষার্থী: ফেনী সরকারি কলেজ।বিভাগঃ রসায়ন।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি আর দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত জনগণ।নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি আজ আর কোনো বিশেষ সংবাদ নয়। প্রতিবছর বা প্রতিমাসে তো বটে, প্রতিদিনই জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জনজীবন হচ্ছে দুঃখ ও ভোগান্তির শিকার।যেমনঃ ধানের ভরা মৌসুমেও দাম বাড়ছে চালের। শুধু চাল নয় ডাল,সয়াবিন তেল, আটা, পেঁয়াজ ও চিনিসহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখন বাড়তি।বিশেষ করে বর্তমান সময়ে সয়াবিন তেলের এক অদ্ভুত হারে দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা জনগণ।বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্তসহ স্বল্প আয়ের মানুষ।তথ্য মতে, এপ্রিলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ২২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এবং প্রতি মেট্রিক টন তেলের দাম রেকর্ড ১৪৯৭ ডলার পর্যন্ত উঠেছে। এপ্রিলের শেষ দিকে তেলের দাম ছিলো ১৯১৯ ডলার।নতুন দাম অনুযায়ী সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দাম এখন ৯৮৫ টাকা। আগে এর দাম ছিল প্রায় ৭৬০ টাকা।এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম হবে এখন ১৯৮ টাকা।নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী, পরিশোধিত পাম সুপার তেল প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১৭২ টাকা।তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভোজ্য তেল হিসেবে সয়াবিনের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় সূর্যমুখী তেল। আবার বিশ্ববাজারে এই তেলের এক তৃতীয়াংশ জোগান দেয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারী মাসে এই দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সরবরাহ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সয়াবিন ও পাম অয়েলের ওপর।ফলশ্রুতিতে মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতা নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থানরত মানুষের জন্য তা অভিশাপ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কারণ দ্রব্যমূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেভাবে মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি পায়নি বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। এসব দাম বৃদ্ধির পিছনে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অবৈধ হাত থাকাতে দীর্ঘসূত্রতা ভোগান্তি হতে হচ্ছে জনগন কে।অথচ,এই অবৈধ টাকায় বিদেশে বিলাসবহুল জীবন কাটাচ্ছে প্রভাবশালীরা। কি কারণে হঠাৎ হঠাৎ দাম বাড়ে দ্রব্যমূল্যের তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নেই। অনেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিচ্ছেন।একদিকে দারিদ্র্যের অভিশাপ অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।আশা করা যায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসব দিক বিবেচনা করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *