শারমিন উদ্দিন | ইডেন মহিলা কলেজ,ঢাকা| একাউন্টিং
পেটপুরে খাওয়ানোর পরও যে জিনিসটা না দিলে খাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায় সেটা হলো ডেজার্ট। দই ডেজার্ট হিসেবে বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে মানুষ দইকে ডেজার্ট হিসেবে গ্রহন করে আসছে।দই বানানো একটি ঝামেলার ও সময়সাপেক্ষ বেপার বলে অনেকেই বাড়িতে দই বানাতে চায় না। বাড়িতে দই পাতালে জমাট বাঁধবে কি বাঁধবে না এই নিয়ে দুশ্চিন্তারও শেষ নেই।কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে জমাট বাঁধার কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই অল্প সময়ে বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত দই তৈরি করা যায়।ইলেক্ট্রিক দই মেকারের সাহায্যে টক দই,মিষ্টি দই,ফলের দই,আইসক্রিম দইসহ বিভিন্ন স্বাদরে দই যে কোনো সময় বানিয়ে ফেলা যায়।বাজারে বিভিন্ন মডেল ও আকৃতির দই মেকার পাওয়া যায়।
দই মেকারে দই তৈরির পদ্ধতিঃউপকরনঃদুধ,চিনি,দইয়ের বীজ(পুরনো দইকেই দইয়ের বীজ বলে)
১.আগের মতোই প্রথমে দুধের সাথে স্বাদমতো চিনি দিয়ে ভালোভাবে জ্বাল করে অর্ধেক করে নিতে হবে।যেমন ১ কেজি দুধকে জ্বাল করে হাফ কেজি বানাতে হবে।
২.এরপর দুধ নামিয়ে নিয়ে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় দইয়ের বীজ দিয়ে ভালোভাবে নাড়া দিতে হবে।যতক্ষণ পর্যন্ত দুধে বাবলস্ বা ফেনা না উঠে ততক্ষণ পর্যন্ত নাড়তে হবে।
৩.মেকারের ভেতরে থাকা দই বানানোর পাত্রটিতে দুধের মিশ্রণটি ঢেলে নিয়ে ঢাকনা আটকে দিতে হবে।৪.দইয়ের ঘনত্ব কম বেশি করার জন্য নির্দেশক রয়েছে।বেশি ঘন করতে চাইলে থিক বাটন এবং পাতলা করতে চাইলে থিক বাটন চাপতে হবে।
৫.বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে মেকারটি ৩-৪ ঘন্টা অন রাখতে হবে।
৬.দইয়ের স্বাদ বাড়ানোর জন্য মেকারের ভেতরে থাকা দইয়ের পাত্রটি বের ফ্রিজে নরমাল টেম্পারেচারে প্রায় ১ ঘন্টা মতো রেখে দিলেই পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
সতর্কতাঃ১.ঢাকনা খুলে চেক করা বা নাড়াচাড়া করা যাবে না।তাহলে দই পারফেক্ট হবে না।
২.বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকা অবস্থায় শিশুরা যেন মেকারটি ধরতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রক্ষণাবেক্ষণঃপ্রতিবার ব্যবহারের পর অবশ্যই মেকারের ভেতরে থাকা পাত্রটি ধুয়ে ফেলতে হবে।মেশিনের ভেতরের প্লেট এবং বাইরের অংশ প্রতিবার ধোয়ার প্রয়োজন নেই।তবে মাঝে মাঝে মেশিনের ভেতরের এবং বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে।এক টুকরো কাপড় বা ফোম ভিজিয়ে হালকা করে মুছে নিলেই হবে।তারপর শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পুরো মেকারটি মুছে ফেলতে হবে। শুধুমাত্র দই রাখার পাত্রটি পানিতে ডুবিয়ে ধোয়া যাবে।পুরো মেকারটি কোনোভাবেই পানিতে ডুবিয়ে ধোয়া যাবে না।এতে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।