AUTHOR
হামিদা আব্বাসী
শিক্ষার্থী, এমবিএ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,সিলেট
আমার চোখের সামনে সে মারা গেলো,
আমি কইলাম যেওনা, যেওনা, মারা যেওনা,
সে আমার দিকে নির্বাক তাকিয়ে থাকল,
কোনো কথা কইতে পারল না,
আমার কথা কি শুনতে পাইছে তাও বুঝলাম না,
আমি কইলাম দাদু তোমার লাগি,
আমি ইস্কুল থাইক্কা আসার সময়
একটা আপেল কিনে আনছি,
তুমি না আপেল খাইতে চাইছিলা?
আমি এক চামচ পানি তার মুখের কাছে রাখলাম,
সে চামচ থেকে এই পানিটুকুও খেতে পারল না,
মা কইলা পুতরে তর দাদু আর কিচ্ছু খাইতে পারবানা,
আমি কান্না করতে লাগলাম,
আর কইতে থাকলাম আল্লাহ দাদুকে নিওনা।
আমার দাদু আপেল খাইতে চাইছেন,
আমি তাকে আপেল খাওয়াইতে চাই,
আল্লাহ আমার কথা শুনলেন,
দাদু আপেল খাওয়ার মতো সুস্থ হইলেন,
তৃপ্তি নিয়ে খাইলেন, সবাই আমরা খুশি,
দিন গিয়ে যখনই রাত বাড়তে লাগল,
দাদুর গোঙানির শব্দ বেড়ে গেল,
কেউ ঘুমায়না,সবাই কইতেছিল,
আজকের রাত বুঝি আর পার হবেনা,
তাঁর ভিতরে আল্লাহ, আল্লাহ আওয়াজ হচ্ছিল,
চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তেছিল,
নাকে গুড়গুড় শব্দ হচ্ছিল,
সবাই কইতেছিল ছদমা পড়ছে,
হাত-পাঁ ঠান্ডা হই যাচ্ছে,
কানের লতি পড়ে গেছে,
ডেকুর তুললেন তিনবার,
তাঁরপর সে আর কোনো শ্বাস ফালায় নি,
কেউ কেদেঁ উঠল, কেউ তাঁর মুখ ডেকে দিল,
কেউ পড়ল ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
চোখের সামনে সে মারা গেল,
কান্নাকাটি ছাড়া কিচ্ছুই করতে পারিনি।